(SEO) শেখার পর আপনি কিভাবে আয় করতে পারেন, তার কয়েকটি কমন উপায় দেখুন। না দেখলে আপনার লস!
SEO- Search Engine Optimization অনলাইনে সেলস এন্ড মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টএর অন্যতম বৃহৎ অংশ। সাধারন কথায় বলতে গেলে গুগলে বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে অনলাইন ভিত্তিক কোন সেবা বা ওয়েবসাইট মার্কেটিং করাই হচ্ছে SEO. শিখতে সহজ হওয়ায় নতুনদের অনেকেই এটা দিয়েই শুরু করতে চায় অনলাইন ক্যারিয়ার। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমাদের মধ্যে অনেকেই অনলাইন থেকে উপার্জনকে একটা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে বেধে ফেলেছি। আমরা অনলাইনে আয় বলতে মনে করি এটা বুঝি- আপওয়ার্ক, ফ্রীল্যান্সার আর ইল্যান্স! কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আজ পর্যন্ত যারা সফল, এবং যাদের মুখ আপনি চেনেন, এমন কারও সম্পর্কে শুনেছেন কি, যে আমি আপওয়ার্কে কাজ করি? মোটেও নয়, যদি কাজ জানা থাকে আর কিছু করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনিও নিজেকে বদলে হয় উঠতে পারেন আরেক আপনি। ঠিক এই রকম একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর হচ্ছে “সেলস এন্ড মার্কেটিং”। মার্কেটিং কি এটা আমরা সবাই জানি, এবং এটাও জানি একটা কোম্পানির যাবতীয় ইনকাম নির্ভর করে এর উপর। আর এই মার্কেটিং এর অন্যতম প্রধান এবং বৃহৎ সেক্টর হচ্ছে SEO.
অনেকেই আমাদের এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল দেখে অথবা ইন্টারনেট থেকে আবার অনেকেই কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করে SEO শিখেছেন, কিন্তু কাজ শেখার পর আপনাদের মধ্যে যে সমস্যাটি দেখা যায় সেটি হচ্ছে, আপনি কাজ কিভাবে করবেন? অনেকেই হয়ত জানেনই না, এসইও (SEO) জানা থাকলে কত উপায়ে সেটাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে উপার্জন সম্ভব। ঠিক তাদের জন্যই আমাদের আজকের আয়োজন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক..
এসইও জানা থাকলে আপনিও যেভাবে আয় করতে পারেন-
১. গুগল অ্যাডসেন্সঃ লিখালিখির অভ্যাস আছে? ভাল আর্টিকেল তৈরি করতে জানেন? তাহলে দেরি কেন, একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে আপনিও যুক্ত হয়ে যেতে পারেন বিলিয়ন মানুষের ভীড়ে। গড়ে নিতে পারেন নিজের জন্য একটা আলাদা জায়গা। আর সেখানে জুড়ে দিতে পারেন গুগলের মত কোম্পানির বিজ্ঞাপন যার নাম “Google Adsense” অনেকেই আছে যারা এই অ্যাডসেন্স দিয়ে নিজের জীবন পাল্টে দিয়েছে। কাজেই যদি লিখালিখিতে ভাল দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি শুরু করতে দিতে পারেন ব্লগিং। এবং এই ক্ষেত্রে SEO আপনাকে করবে শতভাগ সহায়তা। কারণ, যদি জানা থাকে SEO তাহলে অল্প দিনেই আপনি আপনার ব্লগকে টেনে তুলতে পারবেন অনেক দূর। তো কি বুঝলেন?
২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অনলাইনের এক বিশাল জগত। সঠিক ভাবে এই সেক্টরে নিজেকে জড়াতে পারলে টাকার অভাব হবে না। যদি SEO এর সঠিক ব্যবহার করে টার্গেটেড কিওয়ার্ড গুগলের প্রথমে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে তো হইসে কাজ! আপনি থাকবেন রাজা। তবে, শুনতে যতটা সহজ করতে কিন্তু অতটা নয়। এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর শ্রম আর মেধা। কাজেই SEO এর জ্ঞানকে কাজ লাগিয়ে আপনিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে বেশ ভাল পরিমাণ আয় করতে পারেন।
৩. মার্কেটপ্লেসঃ আপওয়ার্ক, ইল্যান্স, ফ্রীল্যান্সার, ফাইভার, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি প্রচুর মার্কেটপ্লেস রয়েছে অনলাইনে। চাইলে সেগুলোতে জয়েন করে সেখান থেকে কাজ করেও আয় করতে পারেন। SEO এর প্রচুর কাজ রয়েছে মার্কেটপ্লেসে। দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আপনিও যোগ দিতে পারেন ফ্রীল্যান্সারদের দলে।
৪. লোকাল মার্কেটঃ মনে রাখবেন, শুধু ইন্টারন্যাশনাল নয়, লোকাল মার্কেটেও কিন্তু রয়েছে প্রচুর কাজ। আপনি লোকালি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট মালিকের কাছ থেকে এসইও এর কন্ট্রাক্টে কাজ করতে পারেন। লোকালি কাজ করলে সবচাইতে বড় যে সুবিধাটি পাবেন, যত দিন যাবে লোকাল মার্কেটে আপনার চাহিদা বাড়তে থাকবে এবং ধীরে ধীরে আপনার প্রজেক্ট অর্ডার বাড়তে থাকবে।
৫. লোকাল ব্যবসাঃ আপনার যদি কোন ব্যবসা বা পণ্য থেকে থাকে এবং যদি আপনার SEO ভালভাবে জানা থাকে তাহলে সেটাকে সার্চ ইঞ্জিনে প্রোমোট করে আপনি আপনার ব্যবসায় যোগ করতে পারেন এক নতুন মোড়। মনে রাখবেন, আপনার ব্যবসার প্রতি ভালবাসা আপনারই সবচাইতে বেশি। তাই আপনার ব্যবসার টুকিটাকি SEO এবং মার্কেটিং যদি আপনি নিজেই করে ফেলতে পারেন তাহলে দ্রুত ব্যাবসায় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
এক কথায়, যেহেতু আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সেবা খুজে বের করতে আমরা সার্চ ইঞ্জিন যেমন- গুগলে সার্চ করি এবং সেখান থেকে আমাদের কাঙ্খিত তথ্য খুজে বের করি। অপর দিকে SEO হচ্ছে, এই সার্চ ইঞ্জিনে কেউ যাতে আপনার পণ্য সহজে খুজে পায় সেই উপায়, মূলত এই জন্যই রয়েছে SEO এর ব্যপক চাহিদা। এর কাজ সঠিকভাবে জানা থাকলে আশা করা যায় কাজের অভাব হবে না। শুধু প্রয়োজন সঠিক বুদ্ধির এবং পরিশ্রমের।
পোস্টটি ভাল লাগলে ফেসবুকে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
nice
উত্তরমুছুনplz visit my personal portfolio site
https://rokibulislamroton.top