কম্পিউটারের গতি কমা এবং সাইজে ছোট হয়ে যাওয়ার মোর এর ল’ বেশ পরিচিত এবং মানুষ অবাক হয় এটা দেখে যে মোর যা ভবিষ্যতবানী করে গিয়েছে তা সত্যিই সত্য হচ্ছে।
১৯৬৫ সালে মোর বলেছিলেন প্রতি বছর সিলিকন ট্রানজিস্টরের পরিমান দ্বিগুন হবে। কম্পিউটারের গতি দ্বিগুন এবং সাইজ অর্ধেক ছোট হবে। আর এমনটাই হয়েছে অনেক বছর।
ছবিতে দেখুন ২০০০ এর পর একই গতিতে প্রোসেসরের গতি না বাড়লেও ট্রানজিস্টরের পরিমান বেড়েই যাচ্ছে। ২০০৫ এর পর মাল্টি কোর বেড়েই চলছে, বিদ্যুৎ খরচ কিন্তু সেই হারে কমই আছে। আরেকটা ছবি গ্রাফ শেয়ার করতে চাই-
এই ছবিতে ২০০৮ সালের পর কম্পিউটারে মেমরী কত পরিমান বেড়েছে, আর জিপিইউতে কত পরিমান বেড়েছে তা দেখা যাচ্ছে। দেখুন কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের আর মেমরী বাড়ানোর প্রয়োজন নাই, প্রয়োজন আছে GPU এর।
এখন আসল কথায় আসি, কেন আমাদের এত বেশি জিপিইউ প্রয়োজন, ভিবষ্যত কম্পিউটারে কেমন জিপিইউ থাকবে? তারা কি কি কাজ করবে?
DLSS কি? <script type="text/javascript">
Deep Learning Super Sampling. ডুপার সেম্পলিং বিষয়টা একটু ব্যখ্যা সাপেক্ষ, ধরুন আপনি কত রেজুলেশনে কোন একটা ভাল মানের গেম খেলতে পারবেন? সাধারণভাবে আমরা বলবো আপনার মনিটর যতটুকু সাপোর্ট করবে। কারন ভাল মানের গেম অনেক বেশি রেজুলেশন দিতে পারবে এটা জানি।
যদি প্রশ্ন করি পুরাণ আমলের গেম কেমন রেজুলেশনে খেলতে পারবেন বলবো, সেই গেম যতটা রেজুলেশনের। কারন আমরা জানি মনিটর বেশ ভাল রেজুলেশন দিতে পারে। কিন্তু না। DLSS টেকনোলজীর কারনে বিষয়টা এমন হবে না, পুরানো গেমগুলোর এজগুলোকে সে স্মুথ করে দিতে পারে। অদ্ভুত না? হা ঠিক তাই।
মনিটর যদি ভাল মানের হয় তাহলে ইন্টেলিজেন্স দিয়ে সে ছবিকে ঠিক করে নিবে|
আরেকটা মজার কাজ করবে তা হলো কোন ভিডিও ৩০ ফ্রেম/সেকেন্ডের হলে তা স্লোমোশন করলে যে ভেঙে ভেঙে যায় সেটাও দারুন ভাবে ঠিক করবে। উফ্। ক্রিকেট খেলায় আমরা যখন স্লোমোশনের ঝামেলায় পড়ে যায় তখন মাঝের ফ্রেমগুলোর ছবি কেমন হতে পারে তা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ঠিক করে দিবে।
কোন দ্রুতগতির গাড়ীর কম ফ্রেম রেটের ভিডিওকে অনেক বেশি স্লোমোশনে দেখতে চাইলে মাঝের ফ্রেমগুলোর দরকার পরবে যা পাবেন না। কিন্তু সেই ফ্রেমে কি থাকতে পারে তা বানিয়ে দিবে ডীপ লানিং প্রযুক্তির জিপিইউ।