বর্তমানে স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই অনলাইন থেকে খুব ভালো পরিমাণে ইনকাম করছেন। আবার অনেকেই ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করছেন ইন্টারনেটে কিভাবে আয় করা যায়। তো বন্ধুরা ইন্টারনেট থেকে ছাত্র অবস্থায় আয় করার মত অনেকগুলো আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট বা রয়েছে আপনারা চাইলে সেখান থেকে খুব ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।
ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে ইনকাম করার মত এমন কয়েকটি মাধ্যম আমি আজকে আপনাদেরকে দেখিয়ে দিচ্ছি যেগুলো থেকে আপনি চাইলে অনায়াসে প্রতিমাসে খুব ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।
ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় যে মাধ্যম গুলো রয়েছে আমি আজকে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করছি যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
তো চলুন দেখা যাক অনলাইনে আয় করার যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজে মাধ্যমগুলো সে মাধ্যম গুলো কি কি আমি বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করছি।
1। ব্লগিং করে ইনকামঃ
ছাত্র অবস্থায় আয় করার যে জনপ্রিয় মাধ্যম গুলো রয়েছে তার মধ্যে বাছাই করে প্রথমে আপনাদের জন্য নিয়ে আসছি ব্লগিং। কেননা যতগুলো ইনকামের মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং আনলিমিটেড ইনকাম এর সুযোগ রয়েছে ব্লগিং করে।
ব্লগিং করতে হলে কি কি লাগবেঃ
আপনি যদি ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার প্রথম অবস্থায় যে জিনিস গুলো লাগবে তা হল:
- একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অথবা একটি ভালো মানের মোবাইল ফোন
- ইন্টারনেট কানেকশন
- কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক ধারনা
কি কি কাজ করতে হবেঃ
ব্লগিং স্টার্ট করার জন্য প্রথম অবস্থায় আপনাকে যে সমস্ত কাজগুলো করতে হবে তা হলঃ
- একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
- একটি হোস্টিং কিনতে হবে (ব্লগার হলে হোষ্টিংয়ের প্রয়োজন নেই ব্লগার হোস্টিং ফ্রী)
- তারপর একটি ওয়েবসাইট বানাতে হবে
আপনি কিভাবে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট বানাবেন বা কিভাবে একটি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানাবেন এর বিস্তারিত তথ্য আমাদের এই ব্লগে একটি টিউটোরিয়াল রয়েছে চাইলে আপনি এখান থেকে চেক করতে পারেন।
এখানে চেক করতে পারেনঃ
- ব্লগার দিয়ে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করুন
- একটি আকর্ষণীয় ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করুন
ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়ঃ
ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান আপনার একটি ওয়েবসাইট খোলার পর সেখানে যখন ভিজিটর আসবে তখন বেশ কিছু মাধ্যম রয়েছে যেগুলো এপ্লাই করে ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং করে ইনকাম করার জনপ্রিয় কয়েকটি মাধ্যম আমি নিচে দিয়ে দিলাম:
- গুগল এডসেন্স
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- স্পন্সর অ্যাড
- ই-কমার্স
- নিজের প্রোডাক্ট সেল
আমি আমার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন অংশে আলোচনা করেছি আপনারা চাইলে প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর ক্লিক করে সে বিষয়ের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
অনলাইন থেকে ইনকাম করার জনপ্রিয় মাধ্যম গুলো নিয়ে আলোচনা করছি তার মধ্যে দুই নম্বরে রয়েছে সেটা হলঃ
2। ইউটিউব থেকে আয়ঃ
অনলাইনে ছাত্র-ছাত্রীদের আয় যে জনপ্রিয় মাধ্যম গুলো রয়েছে তার মধ্যে দুই নম্বরে যে বিষয়টি রয়েছে সেটা হল ইউটিউব। একজন স্টুডেন্ট চাইলেই সে একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখান থেকে কিছু কাজ করে কিন্তু খুব ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন তাও আবার বাসায় বসে।
ইউটিউব করার জন্য কি কি প্রয়োজন:
আপনি যদি ইউটিউব করে আয় করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন হবে নিম্নে আমি তা দিয়ে দিলামঃ
- একটি ভালো মানের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
- ইন্টারনেট কানেকশন
- একটা ভালো স্মার্টফোন অথবা একটি ক্যামেরা
- ভিডিও এডিটিং এর জন্য সফটওয়্যার
ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে কি কাজ করতে হবে।
ইউটিউবিং করে আয় করতে হলে বেশ কিছু কাজ প্রথমেই করে নিতে হবে সেটা হল:
- ইউটিউবে একটি নিজের নামে চ্যানেল খুলতে হবে
- ভিডিও তৈরি করতে হবে
- প্রতিনিয়ত সেখানে ভালোমানের ভিডিও আপলোড করতে হবে
ইউটিউব থেকে ইনকামের মাধ্যম:
আপনি যদি ইউটিউবে করে আয় করতে চান সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু মাধ্যমে এপ্লাই করতে হবে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে:
- গুগল এডসেন্স
- প্রডাক্ট রিভিউ
- স্পন্সর
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- নিজের ভিডিও বিক্রয়
- পেইড কোর্স
- বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রমোশন
ইউটিউব এর জন্য শর্ত: (Requirement)
বর্তমানে ইউটিউবিং করতে হলে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে দুটি শর্ত যেটা না মানলে আপনি ইউটিউব থেকে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন না কিন্তু অন্যান্য মাধ্যম অবলম্বন করে ইনকাম করতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে।
- 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম
- 1000 সাবস্ক্রাইবার
- কপিরাইট কনটেন্ট ত্যাগ
এই ছিল অনলাইন থেকে ইনকাম করার মত সবচেয়ে জনপ্রিয় যে মাধ্যম গুলো রয়েছে সেই মাধ্যমগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় মাধ্যম কি।
এখন আলোচনা করছি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনলাইন থেকে ইনকাম করার তিন নাম্বার পজিশনে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম রয়েছে সে মাধ্যমটি।
3। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
এফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করা সেটা থেকে কমিশন জেনারেট করা। অনেকেই ই-কমার্স এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে একসাথে গুলিয়ে ফেলেন।
ই-কমার্স এবং এর মধ্যে পার্থক্য
এর মধ্যে আসল পার্থক্য হল: এফিলিয়েট মার্কেটিং এ অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে সেখান থেকে একটি কমিশন আপনি পাবেন। এবং আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে নিজস্ব পণ্য বিক্রয় করে তার সমস্ত লাভ আপনি নিজেই নিতে পারবেন।
ই-কমার্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রায় একই রকম কাজ। তবে পার্থক্য হল, ই-কমার্স এর মাধ্যম নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হয়, আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি করতে হয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে কি কি প্রয়োজন:
আপনি যদি ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন হবে তার মধ্যে অন্যতম হল:
- আপনার একটি কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন লাগবে
- ইন্টারনেট কানেকশন লাগবে
- একটি ওয়েবসাইট থাকলে খুবই ভালো হয় (না থাকলেও কাজ করতে পারবেন)
এবং বিভিন্ন কোম্পানি থেকে তাদের প্রোডাক্ট নিয়ে সেখান থেকে এফিলিয়েট প্রোগ্রামের রেজিস্ট্রেশন করে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সেটাকে বিক্রয় করতে হবে। বিক্রি হওয়ার পর লাভের অংশ থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন। বন্ধুরা আপনার যত প্রোডাক্ট বিক্রি হবে আপনি ততই লাভ পেতে থাকবেন।
4। ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
ছাত্র ছাত্রীদের জন্য অনলাইনে আয় করার জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর মধ্যে 4 নম্বর পজিশনে যে মাধ্যমিকের রয়েছে সেটা হচ্ছে সবারই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করে খুব ভালো পরিমাণে আয় করছে ছাত্রছাত্রীরা এবং অনেকেই ফুলটাইম প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এখানে আপনার যতটুকু দক্ষতা থাকবে আপনি ততটুকু ইনকাম করতে পারবেন আপনি যে কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে সেই সকল বিষয়ে কাজ করতে পারবেন বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে।
ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করতে হয়:
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে তারপরে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করতে পারবেন। আপনার যদি ভাল দক্ষতা না থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনি টিকে থাকতে পারবেন না।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন তার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু কাজ হলোঃ
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য জনপ্রিয় বিষয় সমূহঃ
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- লোগো ডিজাইন
- আর্টিকেল রাইটিং
- ওয়েব ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডিজাইন
- এন্ড্রয়েড এপস ডেভেলপমেন্ট
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO
- প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ
- ট্রানসলেশন
- ফটোগ্রাফি
- ফটো এডিটিং
এছাড়াও আরও অনেক জনপ্রিয় মাধ্যম রয়েছে আপনারা যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে সেখানে গিয়ে দেখতে পারবেন কত ধরনের কাজ ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে রয়েছে । আপনি সেখান থেকে যে কোন একটি মনের মত বিষয় নিয়ে সেটাতে ভালো মানের দক্ষতা অর্জন করে কাজে নেমে পড়ুন। উপরে যে বিষয়গুলো দেখিয়েছে তার তুলনায় ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম করা একটু কষ্টসাধ্য । কিন্তু একবার যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভালো করতে পারেন তাহলে সারা জীবন ভালো পরিমান ইনকাম করে যেতে পারবেন । কিন্তু প্রথম অবস্থায় আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হবে। প্রথম অবস্থায় আপনার যখন কোন যোগ্যতা না থাকবে তখন আপনাকে কোন বায়ার কাজ দিতে চাইবে না।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশকিছু মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করতে হবে ইনকাম করার জন্য। আমি এখানে কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস নিম্নে দিয়ে দিলামঃ
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসঃ
বর্তমানে অনলাইনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা হাজারো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে। তার মধ্যে জনপ্রিয় ফ্রীলান্সিং মার্কেটপ্লেস হলোঃ
- Upwork.com
- Freelancer.com
- Guru.com
- Fiverr.com
- Peopleperhour.com
এছাড়াও বর্তমানে অনলাইনে অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে আপনারা সেখানে থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে খুব ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
5। ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করে আয়
এর জন্য আপনাকে একটু সময় ব্যয় করতে হবে। আপনি নিজেই ওয়েবসাইট খুলে সেটা কিছু দিন ইউজ করে ভাল ভিউয়ার আনতে পারলে, অর্থাৎ ওয়েবসাইটটা জনপ্রিয় করতে পারলেই আপনি আপনার ওয়াবসাইটটা ১২ থেকে ৩৬ গুণ বা তারও বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারবেন। এটাই হল ওয়েবসাইট ফ্লিপিং এর কাজ।
এই কাজটি একটু কষ্ট সাপেক্ষ এবং খুব ভালো আর্নিং এর একটি মাধ্যম। আপনি যদি ওয়েবসাইট বিক্রয় করে ইনকাম করতে চান তাহলে সেজন্য আপনাকে ওয়েব সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে হবে আপনাকে ওয়েব ডিজাইন জানতে হবে আপনাকে ভাল কনটেন্ট রাইটার হতে হবে আপনার এসইও এক্সপার্ট হতে হবে। তারপর আপনি এই কাজটি করতে পারবেন।
ওয়েব সাইট বিক্রয় করার জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলোঃ
- https://www.flippa.com/
6। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনলাইন থেকে আয় করার জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন| সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো যেকোনো একটি ওয়েবসাইট বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য তৈরি করা| যে কেউ একটি বিষয় লিখে সার্চ করলে যেন আপনার ওয়েবসাইটটি রেজাল্ট পেজ আসে। বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে এবং অফলাইন মার্কেট মূল্য রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO কোথায় থেকে শিখবেন
আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখতে চান তাহলে দুইভাবে এটি শিখতে পারবেন।
- ট্রেনিং সেন্টার থেকে
- অনলাইন থেকে
আপনি যদি ট্রেনিং সেন্টার থেকে এসইও শিখতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে 5000 থেকে শুরু করে 50 হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে। এবং সেখানে যাবে তার বাইরে আপনাকে অনেক কাজ শিখতে হবে।
আর যদি আপনি অনলাইন থেকে শিখতে চান তাহলে গুগোল ইউটিউব এর সাহায্য নিয়ে আপনি বিভিন্ন রিচার্জ দেখে দেখে শিখতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোন রকম খরচ করতে হবে না।
কাজ কোথায় পাবঃ
আপনি যদি একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর এক্সপার্ট হন তাহলে আপনার জন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অনেক বায়ার বসে রয়েছে আপনাকে কাজ দেবে বলে। কেননা বর্তমান অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রচুর কাজ রয়েছে সে তুলনায় খুবই কম। আপনি যদি ভাল একজন এসইও এক্সপার্ট হন তাহলে খুব অল্প সময়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং এটি আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবেন।
7। ই-কমার্স ওয়েবসাইট
ই-কমার্স হল অনলাইনের বড় একটা ব্যবসার মাধ্যম যেটা অনলাইনেই পরিচালিত হয়। এখানে আপনি আপনার একাধিক প্রোডাক্ট বা পণ্য ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে করে ইনকাম করতে পারবেন সেই পন্য কে ক্রেতার হাতে পার্সেলের মাধ্যমে পৌছে দিতে হবে। আপনার যদি নিজের কোন একটা ব্যবসা থাকে তাহলে তো আরোও ভালো। কারণ, আপনি আপনার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা পণ্য গুলি অনলাইনে ঘরে বসে বিক্রি করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি বিপুল লাভের পাশাপাশি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তাও বাড়াতে পারবেন।
সর্বপরি আমাদের পরামর্শঃ
আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই যে বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হবেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে বিশদ ধারণা নিয়ে তারপরও অগ্রসর হতে থাকবেন। কেননা যে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে আপনি ভালভাবে না জেনে না বুঝে যদি আপনি আপনার যাত্রা শুরু করেন তাহলে কিন্তু মাঝপথে থেমে যেতে হবে। তাই আমাদের পরামর্শ আপনি যে কাজই করুন সেই কাজটি আগে ভালভাবে দেখুন জানুন ভালভাবে বুঝুন তারপর শুরু করুন। তাহলে আপনার সাফল্য অবশ্যই আসবে
আজ এ পর্যন্তই যদি আমার এ লেখাটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।