-->

আর্টিকেল লেখার নিয়ম | আর্টিকেল লিখে আয় | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং

 বাংলা আর্টিকেল রাইটিং টিপসের এই আর্টিকেলের বা পোস্ট থেকে আপনি শিখতে পারবেন SEO আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও কিভাবে প্রফেশনাল বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয়?  

আর্টিকেল লেখার নিয়ম | আর্টিকেল লিখে আয় | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং
আর্টিকেল লেখার নিয়ম | আর্টিকেল লিখে আয় | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং


আর্টিকেল লেখার নিয়ম | আর্টিকেল লিখে আয় | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং

মনে করুন আপনি একজন ব্লগার, IT
Sayeem টিম আপনাকে ২০২০ সালের ৫টি সেরা VPN সম্পর্কে একটি বাংলা আর্টিকেলের বা পোস্ট লিখতে বলেছে। তাহলে আপনি এই পোস্টটি কিভাবে লিখবেন? কিভাবে ফরম্যাটিং করবেন? পোস্টের মধ্যে কেমন ভাষা ব্যবহার করবেন? কী ধরণের বর্ণনা পোস্টের মধ্যে রাখবেন?

কি? প্রশ্ন শুনে কনফিউশনে পড়ে গিয়েছেন? তাহলে চলুন আপনার কনফিউশন দূর করা যাক।

আচ্ছা, ধরুন, ২০২০ সালের ৫টি সেরা VPN সম্পর্কে একটি বাংলা পোস্ট অন্য কেউ লিখে আপনাকে দিয়ে দিল পড়ার জন্য। তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন তার পোস্টটি পাঠক হিসেবে আপনার কাছে পার্ফেক্ট কি না?

পাঠকের দৃষ্টিতে সেরা আর্টিকেল

দেখুন, আপনি উক্ত আর্টিকেলের বা পোস্ট পড়ার শুরুতে নিশ্চয় একটি ভূমিকা আশা করবেন যাতে করে বুঝতে পারেন নিচের পুরো পোস্টে কি কি থাকছে বা না থাকছে। পোস্টের শুরুতেই যদি ভেতরে কি আছে না আছে সে বিষয়ে একটি ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে যান তাহলে আপনার নিশ্চয় ভাল লাগবে। তাই না? 

এরপর যখন আর্টিকেলের বা পোস্ট পড়া শুরু করবেন তখন যদি দেখেন প্রত্যেকটা VPN এর তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য সুবিধা অসুবিধাসহ বিস্তারিত উল্লেখ করা আছে এবং সেই সাথে ডাউনলোড লিংকও দেয়া আছে প্রত্যেকটা VPN এর। তাহলে নিশ্চয় আপনার ভাল লাগবে। তাই না? আর পোস্টের শেষে যদি লেখকের ব্যাক্তিগত মতামত দেখতে পান যে, তার কাছে কোন ভিপিএনটি সেরা তাহলে এবার নিশ্চয় আপনার আরো ভাল লাগবে! তাই না?

জ্বি। পাঠক হিসেবে একটি আর্টিকেলের বা পোস্ট থেকে আপনি যা যা আশা করেন সেগুলোই যদি আপনি একটি পোস্টে উপস্থাপন করতে পারেন কেবল তাহলেই আপনার পোস্ট লিখা স্বার্থক হবে।

তাহলে প্রথমেই বলি কিভাবে পোস্ট লিখা শুরু করবেন?

আর্টিকেলের টাইটেল | আর্টিকেল লেখার নিয়ম

একটি আর্টিকেলের বা পোস্টের টাইটেল বা শিরণাম যেন ৫ থেকে ৯ শব্দের মধ্যে হয় এবং পোস্ট শিরণাম পড়েই যেন বোঝা যায় পুরো পোস্টে কি থাকছে? প্রতি ১০ জন পাঠকের মধ্যে ৮ জন পাঠকই শুধুমাত্র পোস্ট শিরনাম পড়েই পোস্ট না পড়ে অন্য কোথাও চলে যায় যদি পোস্ট শিরণাম তাদের পছন্দ না হয়।
কি? কিভাবে? যেভাবে? কিংবা লিস্ট বেইজড শব্দ যেমন ৫টি ১০টি ইত্যাদি পোস্ট শিরণামে রাখলে পাঠকরা পড়তে আকৃষ্ট হয়।

আর্টিকেলের ভূমিকা | আর্টিকেল লিখে আয়

আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম হলো কোনো আর্টিকেলের বা পোস্টের শুরুতেই ৪/৫ লাইনের একটি ভুমিকা লিখবেন যাতে পাঠক পোস্টের শুরুর প্যারা বা ভুমিকা পড়েই বুঝতে পারে, পুরো পোস্টে সে কি কি পেতে যাচ্ছে। অনেক পাঠকই শুধুমাত্র ভুমিকা পড়ার পর আর পোস্ট পড়ে না যদি ভূমিকাতে ক্লিয়ার ইনফরম্যাশন না থাকে যে পুরো পোস্টে কি কি থাকছে।

ফিচার ইমেইজ | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং

প্রত্যেকটি আর্টিকেলের বা পোস্টের ভেতরেই নুন্যতম একটি প্রাসংগিক ফিচার ইমেজ রাখতে হবে। একটি পিকচার কোন পোস্টকে অনেক অর্থবোধক করে তুলে। পাঠকরা শুধু লাইনের পর লাইন পড়তে চায় না। প্রাসঙ্গিক পিকচারও দেখতে চায়। তাই পোস্টে পিকচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কার্পণ্য করবেন না।

প্যারাগ্রাফ শিরণাম | আর্টিকেল লেখার নিয়ম

তারপর পুরো পোস্টটি আপনি ছোট ছোট প্যারা করে লিখবেন এবং প্যারাগ্রাফ গুলোর শিরণাম দেবেন সাবহেডিং ব্যবহার করে। যাতে পাঠকরা বুঝতে পারে কোন প্যারাতে কি সম্পর্কে লিখা আছে। চেষ্টা করবেন প্রতিটি প্যারাতে গড়ে যেন ৫ লাইন লিখা থাকে। যদি কোন প্যারাতে অনেক বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটি কয়েকটি প্যারাতে ভাগ করে করে লিখুন। একটি প্যারাগ্রাফ শিরণাম বা সাবহেডিং এর মধ্যে ৩টির বেশি প্যারাগ্রাফ রাখা উচিত নয়।

আর্টিকেলের বডি | আর্টিকেল লিখে আয়

একটি পার্ফেক্ট পোস্টে নুন্যতম ৫টি প্যারাগ্রাফ শিরণাম বা সাবহেডিং রাখা উচিত। আর একটি পোস্টে নুন্যতম ১০টি প্যারা রাখা উচিত। একটি পোস্টে সব মিলিয়ে ৬০০ বা তার বেশি শব্দ ব্যবহার করা উচিত। কোন কিছুর বৈশিষ্ট বা সুবিধা অসুবিধা লিখার সময় সেগুলো প্যারাগ্রাফের মত লাইনের পর লাইন না লিখে  বুলেট লিস্ট আকারে লিখা উচিত। একটি পোস্টের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাসংগিক লিংক রাখা উচিত যেন পাঠকরা সে ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে পারে।

আর্টিকেলে আপনি, আমি শব্দের ব্যবহার

যখন কোন পোস্ট লিখবেন তখন আপনি/ আমি এধরণের শব্দের ব্যবহার বেশি করবেন যাতে করে পাঠকরা মনে করে আপনি তাদের সাথে গল্প করছেন। আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলোর মধ্যে এটি একটি সেরা টিপস।

ফোকাস কিওয়ার্ড | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং

পুরো পোস্টের অন্তত একটি এবং সর্বোচ্চ ৩টি ফোকাস কী ওয়ার্ড নির্বাচন করুন। যেমন এই পোস্টের ফোকাস কীওয়ার্ড হলো VPN. এর পর চেষ্টা করুন সেই ফোকাস কীওয়ার্ডটা যেন পুরো পোস্টে নূন্যতম ১০/১৫ জায়গায় থাকে। লক্ষ করুন মানুষ যখন VPN সম্পর্কে গুগলে সার্চ দেয় তখন অনেকেই বাংলাতে ভিপিএন লিখে আবার অনেকেই ইংরেজিতে VPN লিখে। আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি এমন একটি ফোকাস কী ওয়ার্ড পেয়েছেন যেটি লিখে মানুষ গুগলে সার্চ দেয়ার সময় বাংলা ইংরেজি দুই ভাইবেই লিখে তাহলে আপনার পোস্টের মধ্যে সেটি দুই ভাবেই রাখুন। যেমন এই পোস্টে বাংলায় ভিপিএন লিখা আছে ১৫ বার। আর ইংরেজিতে VPN লিখা আছে ২৪ বার।

কেন ফোকাস কিওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ?

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ফোকাস কীওয়ার্ডগুলোকে পোস্টের মধ্যে এতবার লিখতে হবে কেন? উত্তরটা খুব সহজ। মানুষ যখন কোন কিছু লিখে গুগলে সার্চ দেয় তখন গুগল যাচায় করে দেখে তার লিখা ফোকাস কী ওয়ার্ডটি কোন ওয়েবসাইটের পোস্টে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে প্রাসংগিকভাবে? তখন গুগল যে ওয়েবসাইটের পোস্টকে বেশি প্রাসংগিক মনে করে সেটিকেই সার্চ রেজাল্টের শুরুতে দেখায়। যেমন কেউ যদি সেরা ৫টি VPN লিখে গুগলে সার্চ দেয় তাহলে এই পোস্টটি শুরুতে দেখাবে। এর কারণ হলো সেরা ৫ এই কথাটি আমাদের পোস্টের টাইটলের সঙ্গে মিল আছে এবং ফোকাস কীওয়ার্ড VPN কথাটি আমাদের পোস্টের মধ্যে অনেক জায়গাতে প্রাসংগিকভাবে লিখা হয়েছে। আশা করছি এবার বুঝতে পেরেছেন কেন ফোকাস কিওয়ার্ডকে কোন পোস্টের মধ্যে এত সংখ্যকবার লিখতে হয়।

আর্টিকেল অ্যালাইনমেন্ট | আর্টিকেল লিখে আয়

পোস্টের ভেতর পিকচারগুলো সেন্টার অ্যালাইনমেন্টে রাখবেন এবং লিখাগুলোকে জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্টে রাখবেন যাতে দেখতে বইয়ের লিখার মত মনে হয়।

কনক্লুউশন | আর্টিকেল লেখার নিয়ম

পুরো পোস্ট লিখার শেষে আপনার ব্যাক্তিগত মতামত দিয়ে ৪/৫ লাইনের কনক্লুউশন লিখা উচিত যাতে করে পোস্টের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে পাঠকরা আপনার বা লেখকের মতামত পায়। 

আর্টিকেল লেখার নিয়ম | আর্টিকেল লিখে আয় | বাংলা আর্টিকেল রাইটিং

এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই জানাবেন। আজ এপর্যন্তই শেষ করছি।

পোস্ট রেটিং করুন

আরও নতুন পোস্ট পুরানো পোস্ট

সম্পর্কিত পোস্টসমূহ